মাগুরায় নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস পালন হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০:০০ ঘটিকায় নোমানী ময়দানে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,জেলা আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের মাননীয়  সংসদ সদস্য জনাব এ্যাড: সাইফুজ্জামান শিখর।
মাগুরা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো:মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব পংকজ কুমার কুন্ডু, পৌরসভার মেয়র জনাব মো: খুরশিদ হায়দার টুটুল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত  হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র।
উক্ত অনুষ্ঠানে মাগুরা জেলা প্রশাসক ব্যক্ত  করেন, ইউনেস্কো এ ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের মর্যাদা দিয়ে Memory of the World International Heritage এর অর্ন্তভুক্ত করেছে।
৭ মার্চের এই ভাষণ এখন পর্যন্ত ১৩ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সর্বপ্রথম অনূদিত হয়েছে  জাপানি ভাষায়। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সেই সময়ের জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল এই ঐতিহাসিক ভাষণ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের চেতনা ও মর্মবাণী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন,মাগুরা সর্বদা তৎপর থাকবে বলে জানান।